অষ্টগ্রামের সুস্বাদু পনির (tasty cheesecake)

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম দেশ-বিদেশে সমাধিক পরিচিত হাওর বিধৌত এলাকা হিসেবে। এখানে তৈরীকৃত “সাদা পনির” শুধু দেশে নয়, বিদেশে ও সমাদৃত। এক সময় এর খ্যাতি সুদূর ইংল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়,সম্ভবত পাঠান মোগল কিংবা দত্ত বংশীয় অভিজাত মানুষের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পনিরের উৎপাদন প্রণালিও এ দেশে আসে এবং সময়ের আবর্তে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৬০ সালের দিকে অষ্টগ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই পনির তৈরি হতো এবং তাদের তৈরি পনির সে সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে পর্যন্ত রফতানী হতো।
অষ্টগ্রামের 'পনির' সর্বজনবিদিত,দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে বেশ মুখরোচক ও সুস্বাদু (Tasty cheesecake) খাবার হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়া বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাঙালিদের পছন্দের খাদ্য তালিকায়ও পনিরের স্থান প্রথমসারিতে।
অষ্টগ্রামের পনির সুস্বাদু বিধায়, বঙ্গভবন ও গণভবনে এর যথেষ্ঠ কদর আছে ও বছরের প্রায় সময় বঙ্গভবন-গণভবনে পনির যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,“কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের পনির তৈরি হয়। কিন্তু বাজারজাত করার অসুবিধা ছিল বলে সেটা খুব ভালোভাবে কার্যকর হয়নি। এবার যেহেতু রাস্তা হয়ে গেছে, এখন আমি মনে করি অষ্টগ্রামের উৎপাদিত পনির শুধু ঢাকা শহরে না, আমরা বিদেশেও পাঠাতে পারব”। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পছন্দের খাদ্য তালিকায়ও কিন্তু রয়েছে এই পনির। তাছাড়া অষ্টগ্রামের পনিরের প্রশংসা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদেরও।
চাহিদা ও ঐহিত্য থাকা থাকলেও অষ্টগ্রামের পনিরের (cheesecake) সে সুসময় এখন আর নেই। হাতেগোণা কয়েকজন ধরে রেখেছেন এ ঐতিহ্য।পনিরের সেই হারানো ঐতিহ্য,খ্যাতি ফিরিয়ে আনতে দায়িত্বশীল উদ্যোগ নিয়েছে “দেশীচাই”। সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে তৈরী পনির আপনাদের ঘরে পৌঁছে দেয়ার দৃঢ় হাতে নিয়েছে “দেশীচাই”। সম্পূর্ন নিজস্ব প্রতিনিধির তত্বাবধানে ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে গুনগত মান নিশ্চিত করেই বাজারজাত করা হয় “অষ্টগ্রামের সুস্বাদু পনির”।
Leave a Comment