শিশুর জন্য ঘি | Ghee Benefits for children

শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঘিঃ
শিশুর জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শরীরে ‘বেবি ফ্যাট’ থাকে যেটি সে মায়ের দুধ থেকে পায়। কিন্তু মায়ের দুধ পান বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় বাচ্চার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
সে ক্ষেত্রে ঘি বা ঘি’র তৈরি রান্না করা খাবার শিশুর দারুন উপকারে আসতে পারে। যদি শিশু ছ’মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খায়, তা হলে সাত-আট মাসের মাথায় তাকে ঘি খাওয়ানো শুরু করা উচিত।
শিশুর জন্য কতটা ঘিঃ
সাধারণভাবে, ১২ মাসের কম বয়সী বাচ্চারা প্রতিদিন এক চা চামচ ঘি খেতে পারে। এই পরিমাণটি ধীরে ধীরে দিনে একটি চামচ দুটি চামচ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। একেক শিশুর শরীরের গড়ন একেক রকম। তাই ঠিক কতটা ঘি তাকে দিতে হবে এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
ঘি’র উপকারিতাঃ
১। হাড়ের স্বাস্থ্য: ঘিতে আছে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড, যা শিশুর হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। তাছাড়া এর ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম স্বাস্থ্যকর হাড় বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
২। হজমেঃ বাচ্চার ডায়েটে ঘি যোগ করলে তার জন্য খাবার হজম করা সহজ হয় ও পুষ্টি পেতে সাহায্য করে।
৩। ওজন বৃদ্ধি: নিয়মিত পরিমাণ মত ঘি বা রান্না করা খাবারে ঘি ব্যবহার করলে শিশুর ওজন বাড়তে সহায়তা করে। ঘিতে আছে কনজুগেটেড সিএল, যা শিশুদের স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪। মস্তিষ্কের বিকাশ: শিশুর মস্তিষ্কের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশ হয় ৫ বছর বয়স পর্যন্ত । ঘি তে থাকা ওমেগা ৩ মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঠান্ডা, সর্দি, কাশীতে ঘি খুবই সাহায্য করে।
৬। প্রয়োজনীয় এনার্জি: শিশুর বড় হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরি অনেকটাই পাওয়া যায় ঘি থেকে।
৭। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেল: ঘি’তে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং বেশ কিছু মিনারেল-ও থাকে। শিশুর বৃদ্ধিতে এ গুলো বেশ সহায়ক।
৮। ত্বকের জন্য ভালো: শিশুদের ত্বকের নানা অসুখ মোকাবেলায় ঘি উপকারী।
কেন দেশীচাই'র ঘি আপনার বাচ্চাকে খাওয়াবেনঃ
১। সিরাজগঞ্জের দেশীচাই'র নিজস্ব প্রজেক্টে খাঁটি দুধ থেকে ঘি তৈরি করা হয়।
২। ঘি উৎপাদনে শুধু মাত্র নিজস্ব ফার্মের গরুর দুধই ব্যবহার করা হয়।
৩। ঘি'র গুনাগুন ও মানের ক্ষেত্রে কোন আপোস করা হয় না।
৪। গ্রাহকের কোন অভিযোগ থাকলে, তাৎক্ষনিক ভাবে সহযোগিতা করা হয় ।
৫। আমাদের প্রতিটি পণ্য বিএসটিআই অনুমোদিত বলে, মানের ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
Leave a Comment