রমজান মাসে সাধারনত টানা ১৪-১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। তাই এ সময় শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেয়া দরকার।

১। সেহরিতে শস্যযুক্ত খাবার রাখুন। যেসব খাবার ধীরে ধীরে হজম হবে  সারা দিন আপনাকে সতেজ রাখে। যেমন: সবজি  সালাদ, ওটস, কর্নফ্লেক্স, পানিদুধ বা দই দিয়ে ভাত, ফলবাদাম ইত্যাদি। ভাজা-পোড়াতৈলাক্ত  মিষ্টিজাতীয় খাবার বর্জন করুন। শর্করা জাতীয় খাবার বেশি রাখুন তাতে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবেন। অতিরিক্ত পেট ভরে খাবেন না। যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করুন।

টিপসঃ

ক। সেহরি নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই শেষ করার চেষ্টা করুন। শেষ সময়ে  তাড়াহুড়া করে বেশি পানি পান করবেন না।

খ। সেহরির পরপরই হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। কিন্তু বিকালে হাঁটবেন নাকারণ এতে রক্তে শর্করা অনেক কমে যায়।

 

২। ইফতারে এমন খাবার রাখবেনযা দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। আপনার ইফতারের মেন্যু এরকম হতে পারে।

ক। খেজুর: পটাশিয়ামকপারম্যাঙ্গানিজ এবং আঁশের ভালো উৎস।

খ। পানীয়: ফলের শরবতপানি (বেশী ঠান্ডা নয়),  দুধ ইত্যাদি। বেশী চিনি দিয়ে শরবত বা অন্য কোন পানীয় খাবেন না। কোমল পানীয় একদম নয়।

গ। ফল: তরমুজআঙ্গুর, আনারস, বাঙ্গিকমলামাল্টা ইত্যাদি রাখতে পারেন। পানি শূন্যতা পূরনে সাহায্য করবে।

ঘ। স্যুপ: যে কোন সবজি বা চিকেন দিয়ে তৈরি স্যুপ খেতে পারেন।

ঙ। কাঁচা ছোলা: ছোলায় ম্যাগনেশিয়ামভিটামিনখনিজ লবণফসফরাস  উচ্চ প্রোটিন থাকে যা শরীরে শক্তির জোগান দিতে পারে।

চ। দই: সহজে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য ভালো। 

টিপসঃ

ক। ইফতারে  ভাজা-পোড়া খাবার খেলে পেট ফাঁপাবুক-গলা জ্বলাবমি বমি ভাব—ইত্যাদি হতে পারে। এগুলো না খেয়ে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারফলসবজিবাদাম—এগুলোকে  প্রাধান্য দিন। যথেষ্ঠ পানি পান করুন।

খ। ইফতারের পর ১৫-২০ মিনিটের জন্য বাইরে হেঁটে আসতে পারেন।


৩। রাতের খাবার হালকা খাবার থাকাই ভালো। যেমন লাল আটার রুটিফল, অল্প ভাত, সালাদ সবজি ইত্যাদি।

টিপসঃ

ক। ঘুমানোর আগে অন্তত  গ্লাস পানি পান করবেনযেন পানিস্বল্পতা দেখা না দেয়।

খ।  অতিরিক্ত রোদ বা বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকুন। ভিজে সর্দি-কাশি হলে তা রোজা রাখার অন্তরায় হতে পারে।


রোজায় ব্যয়ামঃ

ক। কম শারীরিক পরিশ্রম লাগে যেমনআধা ঘণ্টা করে নিয়মিত সময়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তবে বেশি ঘাম হয় এমন কোন ব্যায়াম করা যাবে না। আর দিনের বেলায় কোন ব্যায়াম না করাই ভালো।